"একরাশ খাদ্যদ্রব্যের সামনে বসে আছেন দুজন। এক সাহাবী দাওয়াত করেছিলেন হযরত আলীকে। পাত্রভর্তি খাদ্য তিনিই দিয়ে গেলেন এইমাত্র। সুন্দর গন্ধে বাতাস ম ম করছে।
ফাতিমা রদিয়াল্লাহু আনহুমা আনন্দিত কন্ঠে বললেন এত ভালো খাবার আব্বাকে সাথে নিয়ে খেলে খুব আনন্দের হত।
ঠিক বলেছ।
আলী রদিয়াল্লাহু আনহু সোজা হাজির হলেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সামনে।
কি সংবাদ আলী?
যদি এখুনি একবার আমাদের বাড়িত অনুগ্রহ করে আসেন আপনার কন্যা খুব ই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।
ফাতিমা ডেকেছে! ঠিক আছে, হাতের কাজ মিটিয়ে এখুনি আসছি।
আলী এসে জানালেন ফাতিমাকে। দুজন অপেক্ষা করতে লাগলেন।
দুজনের মনে আজ আরো একটা আনন্দের উঁকিঝুঁকি। দুখের সংসারে কোন ইচ্ছেই পূরণ হয়না। এতদিন তাঁদের দরজায় ঝুলত ছেঁড়া কম্বল অথবা খেঁজুর চাটাই। আজ তাঁরা সুন্দর একটা পর্দা টাঙাতে পেরছেন। খুব মনের মত হয়েছে পর্দাটা।
রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখে খুব খুশি হবেন।
ফাতিমা আলীকে উল্লসিত কন্ঠে শুধালেন আচ্ছা পর্দাটা দেখে আব্বা কি বলবেন?
আলী স্ত্রীকে বলেন বলো তো কি বলবেন?
ফাতিমা বললেন আমি জানি তিনি কি বলবেন।
ঠিক এই সময়ে জানালা থেকে দেখলেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসছেন।
ফাতিমা খাদ্যদ্রব্য ঠিক করতে বসে গেলেন।
আলী অভ্যর্থনা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে রইলেন ভিতরে।
কিন্তু অনেকক্ষণ হয়ে গেল তিনি আসছেন না।
আলী দৌড়ে বাইরে গেলেন দেখলেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিরে যাচ্ছেন। ছুটে গেলেন তাঁর সামনে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চোখ মুখ দেখেই বুঝলেন তিনি রীতিমত ক্ষুণ্ন হয়েছেন।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
"যে ঘরে আড়ম্বর প্রকাশ পায় আল্লাহর রসুলের পক্ষে সে ঘরে প্রবেশ করা উচিত নয়। কেননা আড়ম্বর থেকেই অহংকার।আর দোযখের জন্য অহংকার ই যথেষ্ট"।”
(উৎসঃ আবু দাউদ ২য়খন্ড। সীরাতুন নবী ২য়খন্ড।)
**Tahmina Islam এর ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত**
Post a Comment